
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) চলতি আসরের ফাইনালে উঠেছে লাহোর কালান্দার্স। বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন লাহোরের বাংলাদেশি স্পিনার রিশাদ হোসেন। ৩৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন এই লেগস্পিনার।
আজ শুক্রবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২০২ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে লাহোর। জবাবে ১৫.১ ওভারে ১০৭ রানে অলআউট হয় ইসলামাবাদ।
লাহোরের হয়ে কুশল পেরারা ৩৫ বলে ৬১, মোহাম্মদ নাইম ২৫ বলে ৫০, আব্দুল্লাহ শফিক ২৪ বলে ২৫, ভানুকা রাজাপাকসে ১৩ বলে ২২ রান করেন।
এই ম্যাচেও রান পাননি সাকিব আল হাসান। লাহোরের ব্যাটিং লাইনআপের আট নম্বরে ও ইনিংসের শেষ ওভারে (২০তম ওভার) ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি। ইসলামাবাদের পেসার তাইমাল মিলসের প্রথম বলে (ওভারের তৃতীয় বল) ব্যাট স্পর্শ করাতে ব্যর্থ হয়ে পরের বলেই আকাশে ভাসিয়ে মিড অফে মোহাম্মদ নওয়াজের হাতে ক্যাচ হন বাঁহাতি ব্যাটার।

এর আগে লাহোরের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষেও গোল্ডেন ডাক (১ বলে ০) মেরেছিলেন সাকিব। অর্থাৎ লাহারের হয়ে ব্যাট হাতে দুই ম্যাচ খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।
সাকিব আউট হলে ব্যাটিংয়ে নামেন রিশাদ। প্রথম বলেই (ওভারের পঞ্চম বল) চার হাঁকান তিনি। ইনিংসের শেষ বলে দৌড়ে এক রান নিয়ে আবার দৌড় দিতে গিয়ে রানআউট হন রিশাদ (২ বলে ৫)।
ব্যাটের মতো বল হাতেও সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। ৩ ওভারে ২৭ রান খরচা করে ছিলেন উইকেটশূন্য।
আর ইসলামাবাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান (২৬ বলে) করেন সালমান আলী আগা। শাদাব খান ১৪ বলে ২৬, বাকিদের কেউ দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
আগামীকাল শনিবার কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন লাহোর।
রিশাদ ছাড়াও লাহোরের হয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও সালমান মির্জা। আর ইসলামাদের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার তাইমাল মিলসের, ৪২ রানে ৩ উইকেট।