যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে নতুন করে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইংল্যান্ডে স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) কমপক্ষে ৩০টি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আরও দাঙ্গার আশঙ্কায় প্রায় ৬ হাজার পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার সব সম্প্রদায়কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তারা নিরাপদে থাকবেন। গতরাতে জরুরি বৈঠকের পর তিনি জনগণকে এই আশ্বাস দিয়েছেন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে ছুরিকাঘাতে তিন শিশুকে হত্যার পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। গত ২৯ জুলাই স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে সাউথপোর্টের একটি নাচের কর্মশালায় আকস্মিক ছুরি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৯ ও ৭ বছর বয়সী দুই শিশু নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় আরও এক শিশু। এছাড়া হামলায় আহত হয় আরও সাতজন।
জানা গেছে, হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে যে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি একজন উগ্র ইসলামপন্থি অভিবাসী। এরপর ৩০ জুলাই স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। সাউথপোর্টে শুরু হওয়া বিক্ষোভ একপর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে সাধারণ মানুষ। অনেক স্থানে ভাঙচুর এবং লুটপাটের খবরও পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল (৬ আগস্ট) লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাজধানী জুড়ে বিদ্বেষপূর্ণ এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পুলিশের উপ-সহকারী কমিশনার অ্যান্ডি ভ্যালেন্টিন বলেন, আমরা আমাদের সড়কে এসব সহ্য করবো না।
তিনি বলেন, আমরা বিশৃঙ্খলা রোধ করতে সব রকমের শক্তি, কৌশল এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করবো। আমরা গত সপ্তাহে সেন্ট্রাল লন্ডন থেকে শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছি। যদি তারা সহিংসতা বাড়ানোর লক্ষ্যে রাস্তায় নেমে আসে তবে আরও লোকজনকে গ্রেফতার করতেও আমরা দ্বিধাবোধ করবো না।