
দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া ‘মুজিব’ সিনেমায় অভিনয় করে দীর্ঘদিন বেশ আলোচনায় ছিলেন। সিনেমাটি ২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল। এরপর আর তার আর কোনো সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে আসেনি। দীর্ঘ বিরতির পর এবার ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে ফারিয়া অভিনীত ‘জ্বীন ৩’ সিনেমাটি।
‘জ্বীন-৩’ সিনেমায় নুসরাত ফারিয়া অভিনয় করেছেন এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে সিনেমাটি নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ফারিয়ার এক বিশাল দর্শকগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। ফারিয়ার অভিনয় দেখার জন্য তারা মুখিয়ে থাকেন। ফারিয়া নিজেও এ সিনেমাটি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী। তিনি অনেকবার তার সাক্ষাৎকারে ‘জ্বিন ৩’ নিয়ে প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন।
‘জিন’ সিরিজের আগের দুটি সিনেমা ভালো ব্যবসা করেছিল। তবে দুটি সিনেমাই ছিল অল্প বাজেটের। এ নির্মাণ করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। নুসরাত ফারিয়াসহ ‘জ্বীন ৩’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন আবদুন নূর সজল, তানিয়া আহমেদ, নাদের চৌধুরীসহ অনেকে। সিনেমাটিতে তিনটি গান রয়েছে এবং খুলনায় গানের শুটিং হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।
২০২৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘জ্বীন’ সিনেমা। ভালো ব্যবসা হওয়ায় সেটির ধারাবাহিকতায় গত রোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল ‘মোনা: জ্বীন-২’।
এদিকে নুসরাত ফারিয়া দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ‘মুজিব’ সিনেমায় অভিনয় নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। কারণ গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিপাকে পড়েছেন আওয়ামীপন্থি তারকা শিল্পীরা। তাদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। তাদের অনেকে কাজও পাচ্ছেন না। তাছাড়া যারা শেখ মুজিবকে নিয়ে নির্মিত সিনেমায় অভিনয় করা শিল্পীদের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও বিভিন্ন সমালোচনা শিকার হচ্ছেন। তাদের মধ্যে নুসরাত ফারিয়া অন্যতম।
‘মুবিজ’ সিনেমায় শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করার পর যে সমালোচনার শিকার হয়েছেন তা নিয়ে প্রথমবার কথা বলেন এ অভিনেত্রী। তাকে একটি পডকাস্টে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনি কি শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করার কারণে অনুশোচনায় ভুগছেন?
এমন প্রশ্নে ফারিয়া ইংরেজিতে জবাব দেন। যার অর্থ করলে দাঁড়ায়, “আমি বলতে চাই, এখানে অনুশোচনার মতো কিছুই নেই। আমরা শিল্পীরা সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করি। এর পেছনে অনেক শারীরিক পরিশ্রম যায়। স্পেশাল এই সিনেমার ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ জন্য ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল- এই ৫ বছর আমি একই লুকে নিজেকে মেইনটেইন করেছি।”
তিনি আরও বলেন, ‘চুলে কোনো রঙ করিনি, কালো চুল নিয়ে ঘুরেছি এই চরিত্রটির জন্য। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শারীরিক ওজনের মধ্যে থাকতে হয়েছে। মোট কথা, আমি বলতে চাই এই সিনেমার জন্য আমি আমার জীবনের দীর্ঘ ৫টি বছর দিয়েছি। ফলে সেই কাজটি নিয়ে যদি অনুশোচনা করি তাহলে আমার পেশাকেই অপমান করা হবে। এ সিনেমার জন্য আমি যে পরিস্থিতি পার করেছি বা এখনো করছি তা আমার ভাগ্যে লেখা ছিল বলেই মনে করি। এটা খণ্ডানোর ক্ষমতা আমার ছিল না। দেশের সরকারি পর্যায় থেকে কোনো কাজের প্রস্তাব এলে তা অপছন্দ হলেও মানা করা যায় না।’