
বিশ্বের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ মিশরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর অঙ্গসংগঠন ‘আজহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ ঈদুল আজহা উপলক্ষে আয়োজন করলো বার্ষিক ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান।
স্থানীয় সময় শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় মিশরের রাজধানী কায়রোর আল-সফা মিলনায়তনে সোহাইটির সভাপতি শিহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানটি নবাগত শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আনন্দঘন মিলনমেলায় পরিণত হয়।
তাওহিদুল ইসলাম, সফিউল্লাহ ও আবরার ফাহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সভাপতি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।

অনুষ্ঠানে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনায় উন্নতি ও পদ্ধতি শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন মুহিব্বুর রহমান মাসুম। তিনি আল-আজহারের পাঠক্রম পঠন পদ্ধতি ও ক্যারিয়ার পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবভিত্তিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ।
পিএইচডি গবেষক আবু আদনান মুহিব্বুর রহমান ‘ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা করেন। তিনি তার বক্তব্যে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বিষয়টি নতুনভাবে অনুধাবনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় আল-আজহারে নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে উপহার স্বরূপ তুলে দেওয়া হয় মূল্যবান বই। এই পর্বে নতুনদের আত্মবিশ্বাস ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল বিশেষ লক্ষণীয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় খেলনা, চকলেট ও ছোট উপহার। শিশুদের উচ্ছ্বাস, কোলাহল ও হাসিমুখ পুরো অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। তাছাড়াও অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে আয়োজন করা হয় জ্ঞানভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ। নবীন-প্রবীণ সকলে এতে অংশগ্রহণ করেন, যা অনুষ্ঠানে মেধা ও মননের এক দারুণ ছাপ ফেলে।
আজহারের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী মাওলানা আখতার হোসেন তার বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। তিনি তার বক্তব্যে ভ্রাতৃত্ব, ত্যাগ ও তাকওয়ার অনুপ্রেরণাদায়ক দিকটি তুলে ধরা হয়।
উৎসবমুখর, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও শিক্ষামূলক ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানটিতে কায়রো ও আশেপাশের এলাকা থেকে আসা প্রবাসী ও শিক্ষার্থী মিলিয়ে উপস্থিত ছিলেন পাঁচ শতাধিক অতিথি।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের জন্য পরিবেশন করা হয় বাঙালি স্বাদের ও কোরবানির মাংস দিয়ে তৈরি দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার।