
ইসরায়েলের আরোপ করা অবরোধ ভাঙতে সড়কপথে গাজা অভিমুখে রওনা দিয়েছেন বিশ্বের শত শত অধিকারকর্মী। তারা তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিশ থেকে রওনা দিয়ে লিবিয়া হয়ে মিশরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সেখান থেকে যাবেন গাজা সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিংয়ে।
‘অবিচলিত’ নামের এই বহরটিতে কয়েক ডজন বাস ও একশরও বেশি গাড়ি রয়েছে। এতে আছেন ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি অধিকারকর্মী। যেটির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আয়োজকদের মতে, ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই বিক্ষোভে যোগ দেবেন। তারা কায়রোতে অবতরণ করে উত্তর সিনাইয়ের আরিশ শহরে যাবেন বাসে এবং মরুভূমি উপদ্বীপের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে গাজা সীমান্তের রাফায় যাবেন।

এদিকে গাজা অভিমুখে যাত্রাকে মিশর স্বাগত জানিয়েছে। অবশ্যই তা যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ও কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে।
মিশর জানায়, তারা মরোক্কো তিউনিসিয়া ও আলজেরিয়া থেকে আগত মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের আবেগকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেছে। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করতে হবে সেটা জানিয়ে গতকাল মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অবশ্যই দখলদার বাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পরিকল্পিত ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মতো নৃশংসতার আশু সমাধান চাই। সারা বিশ্ব থেকে যে কেউ চাইলে অবশ্যই গাজা সীমান্তবর্তী রাফাহ ও আরীশ জেলা ভ্রমণ করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসাসহ সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস ও মিশর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
গত সপ্তাহে পরিবেশবাদী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১২ অধিকারকর্মী জাহাজে করে গাজার দিকে রওনা দেন। কিন্তু তাদের জাহাজটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা থেকে ছিনতাই করে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর তাদের ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। যার মধ্যে ৪ জনকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েলিরা। বাকিদের এখনো আটকে রাখা হয়েছে।