
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়ায় উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপিত হলো। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায় একইদিনে ঈদ। দেশটিতে লাখো প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন, যারা পরিবার থেকে দূরে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন।
শনিবার (৭ জুন) মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ নেগারাতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। মালয়েশিয়ানদের পাশাপাশি নামাজ পড়েন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশের মুসলিমরা।মসজিদ নেগারার গ্র্যান্ড ইমাম এহসান মোহাম্মদ হোসনি নামাজের আগে কোরবানির তাৎপর্য নিয়ে খতিব বয়ানে বলেন, কোরবানি হলো আল্লাহ তাআলার জন্য ত্যাগ-তিতীক্ষা প্রদর্শনের অন্যতম ইবাদত। যা যুগে যুগে সব নবী-রাসুলের জন্যই বিধিবদ্ধ ছিল। আর বর্তমান কোরবানি আমাদের জন্য হযরত ইব্রাহিম (আ.) কর্তৃক পালনীয় ঐতিহাসিক আদর্শ ইবাদত। কোরবানি দেওয়ার কিছু মাসআলা ও মাসায়েল নামাজ আদায়কারীদের সামনে তুলে ধরে বলেন, ঈদ উৎসবকে সত্যিকার পরম করুণাময়ের কাছে গৃহীত করতে চাইলে সবধরনের কৃত্রিমতা ও লৌকিকতার মুখোশ ঝেড়ে ফেলে অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠার আহ্বান জানায় ঈদ।
নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মোবাইল ফোনে দেশে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসীরা।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান প্রবাসী বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি দেশে অবস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।