
মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যে তিনটি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিন স্থানীয় নাগরিক আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সেলাঙ্গর হুলু সেলাঙ্গর জেলার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এক বাংলাদেশি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।
সেলাঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রেসক্যু ডিপার্টমেন্টের (জেবিপিএম) অপারেশন ডিভিশনের সহকারী পরিচালক আহমদ মুখলিস মুখতার বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুকিত সেন্টোসা ফায়ার অ্যান্ড রেসক্যু স্টেশন (বিবিপি), কুয়ালা কুবুর ভারু বিবিপি ও তানজুং মালিম বিবিপি থেকে মোট ২১ জন দমকলকর্মী ও কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
আহমদ মুখলিস আরও বলেন, একটি ট্রেলার, একটি তিন টনের লরি ও একটি টয়োটা গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দুর্ঘটনায় লরিতে থাকা এক বাংলাদেশির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আরেকজন গুরুতর আহন হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
হুলু সেলাঙ্গর জেলা পুলিশের উপ-প্রধান ডিএসপি আসরি মোহাম্মদ ইউনুস জানান, মিতসুবিশি ফুসো ট্রাকের চালক বাংলাদেশি স্থানীয় স্লিম রিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত দুই বাংলাদেশির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র বয়স জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিহত বাংলাদেশির বয়স ৩০ বছর আর পরে হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির বয়স ৫১ বছর।
আরও তিনজনের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে একজন ট্রাকচালক। তার বয়স ২৬ বছর বলে জানা গেছে। টয়োটা গাড়িতে থাকা দুইজনের বয়স যথাক্রমে ৫২ ও ১৮ বছর।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভুট্টা বোঝাই একটি মিতসুবিশি ফুসো ট্রাকের সাথে একটি টয়োটা গাড়ির ধাক্কা লাগলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত লেনে ঢুকে আরেকটি স্ক্যানিয়া লরির সাথে সংঘর্ষ হয়।
নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং সড়ক পরিবহন আইন (এপিজে) ১৯৮৭ এর ৪১ (১) ধারায় মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।