
মালয়েশিয়ার পেরাকে অবস্থিত ওয়াই টি ওয়াই কোম্পানিতে বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) হাইকমিশনার ওয়াই টি ওয়াই আচেহ নামে একটি বিখ্যাত গ্লোভস কোম্পানির সিতিয়াওয়ান, পেরাক শাখা পরিদর্শনকালে ওয়াই টি ওয়াই গ্রুপ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের ভাইস প্রেসিডেন্ট তুয়ান সৈয়দ আলী আল জেফরি এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
পরিদর্শনকালে হাইকমিশনার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনের পাশাপাশি বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ওয়াই টি ওয়াই কোম্পানি তাদের বিদেশি কর্মী সম্পর্কিত নীতি এবং তাদের কল্যাণমূলক অনুশীলন সম্পর্কে একটি ব্রিফিং দেয়, যা আইএলও নির্ধারিত শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সঙ্গতিপূর্ণ।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মক্ষমতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং তাদের কঠোর পরিশ্রমী, নিবেদিতপ্রাণ এবং অনুগত কর্মচারী হিসেবে অভিহিত করেছেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য হোস্টেল সুবিধা ছাড়াও প্রদত্ত অন্যান্য সাধারণ সুযোগ-সুবিধাগুলো পরিদর্শন করেছেন। বিদেশি কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসহ তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য কোম্পানি কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কোম্পানিটিতে বর্তমানে ৬০০ জন বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন এবং তারা বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ এবং তাদের শ্রম পদ্ধতিতে উচ্চমান বজায় রাখার জন্য হাই কমিশনার ওয়াই টি ওয়াই কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য কোম্পানির দেওয়া প্রস্তাবের প্রশংসা করেন এবং কোম্পানিটিতে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য হাইকমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের পেশাগত সততা এবং স্থানীয় আইন ও বিধি-বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে উৎসাহিত করেন হাইকমিশনার। তিনি বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতেও তাদের প্রতি অনুরোধ করেন।
কোম্পানিতে নিয়োজিত বাংলাদেশি কর্মীদের পাসপোর্ট তালিকাভুক্তি পরিষেবা প্রদানের জন্য হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধ দল।
এসময় হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন মিনিস্টার (রাজনৈতিক) মোসাম্মৎ শাহানারা মনিকা, মিশনের কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মুহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন এবং মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীরা বলছেন, এ ধরনের বড় ও ভালো নিয়োগকর্তাদের মূল্যায়ন করা এবং কর্মীদের কাছে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া ও সেবা দেওয়া হলে বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকরা ভালো থাকেন। দেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হয়, তেমনি দেশে থাকা পরিবারও স্বস্তি বোধ করে। এ ধরনের কার্যক্রম জোরদার করার জন্য প্রবাসীরা হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন।