
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা পেট্রোনাস পরিচালিত একটি গ্যাস পাইপলাইনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহত অন্তত ৬৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা ও বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজধানী কুয়ালালামপুরের উপকণ্ঠে সেলাঙ্গর রাজ্যের সুবাং জায়ার পুত্রা হাইটসের জালান পুত্রা হারমোনিতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেসময় বিশাল কমলা রঙের আগুন ও ধোঁয়ার কালো কুণ্ডলি দেখা যায়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে ১১২ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে পুড়ে যাওয়া ক্ষত ও শ্বাসকষ্টের কারণে ৬৩ জনকে সাইবারজায়া, সেরদাং ও পুত্রজায়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বার্নামার জানিয়েছে, সরকার দুটি স্থানীয় মসজিদে ত্রাণকেন্দ্র স্থাপন করেছে, যেখানে উদ্ধারকৃতদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।
সেলাঙ্গরের ডেপুটি পুলিশ প্রধান ডিসিপি মোহাম্মদ জাইনি আবু হাসান নিশ্চিত করেছেন যে উদ্ধারকৃত ও আহতরা তামান হারমোনি ও কাম্পুং কুয়ালা সুঙ্গাই বাহারুর বাসিন্দা। আরও অনেকে এখনো বাড়ির মধ্যে আটকা আছেন। তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সেলাঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এই অগ্নিকাণ্ডে ১৯০টি বাড়ি, ১৪৮টি গাড়ি ও ১১টি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকান্ডে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, তবে এখন পর্যন্ত হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার (৩ মাইল) দূরে অবস্থানরত রয়টার্সের একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন যে বিকেলের দিকে আগুনের তীব্রতা কমে গেছে কিন্তু আগুনের শিখা ও ধোঁয়া এখনো দেখা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলের দিকে অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে, এক বিবৃতিতে পেট্রোনাস জানিয়েছে, পাইপলাইনটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দমকল বিভাগ ৫০০ মিটার (১,৬৪০ ফুট) দীর্ঘ পাইপলাইনের ভালভ বন্ধ করে দিয়েছে। দেশে গ্যাস সরবরাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে তারা।