
যে দলটি প্রথম ইনিংসে ২১২ রানের জবাবে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায়, সেই দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮২ রান কিভাবে করবে? তারওপর লর্ডসের উইকেটে পেসাররা যেভাবে আগুন ঝরাচ্ছিলেন, তাতে প্রোটিয়াদের সামনে ২৮২ রান বিশাল এক লক্ষ্য। রীতিমত অসম্ভব একটি ব্যাপার।
কিন্তু লর্ডসের উইকেট প্রথম দু’দিন যে আচরণ করেছে, তৃতীয় দিন এসে আচরণ বদলে ফেলেছে। প্রথম দুইদিন পড়েছে ১৪+১৪ = ২৮ উইকেট। আর তৃতীয় দিন পড়েছে মাত্র ৪ উইকেট। তারওপর, দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার এইডেন মারক্রাম এবং অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা মিলে যে জুটি গড়ে তুলেছেন, তাতে তৃতীয় দিন সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্রই দেখা গেলো লর্ডসে।
জয়ের জন্য ২৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ২১৩। ১৪৩ রানের হার না মানা জুটি গড়েছেন এইডেন মারক্রাম ও টেম্বা বাভুমা। ক্যারিয়ারে ৮ম টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন মারক্রাম। ১০২ রান করে উইকেটে রয়েছেন তিনি। বাভুমা রয়েছেন ৬৫ রানে। আরও ৬৯ রান প্রয়োজন প্রোটিয়াদের।
তৃতীয় দিন সকালে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নামে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে। তবে মিচেল স্টার্ক এবং জস হ্যাজলউডের ব্যাটিং দৃঢ়তায় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর গিয়ে থামে ২০৭ রানে। ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন মিচেল স্টার্ক। ৫৩ বলে ১৭ রান করে আউট হন জস হ্যাজলউড।
প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও সেরা বোলিং করেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি। একটি করে নেন মার্কো ইয়ানসেন, উইয়ান মুলডার ও কেশভ মাহারাজ।
২৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ রান করেই আউট হয়ে যান রায়ান রিকেলটন। এরপর দলীয় ৭০ রানের মাথায় ৫০ বলে ২৭ রান করে আউট হন উইয়ান মুলডার। উইকেট দুটি নেন মিচেল স্টার্ক।