মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা মহাসড়ক ডাকাত চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন ও ২৮ রাউন্ড গুলিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, রাতের আঁধারে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা মাওয়া মহাসড়কের নির্জন স্থানে যানবাহন থামিয়ে অস্ত্রের মুখে চালকসহ যাত্রীদের জিম্মি করে বেশ কয়েকটি ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এই চক্র। দীর্ঘ দিন ধরে এই ডাকাতি করে আসছিল তারা।
পরে একটি ডাকাতি মামলার সূত্র ধরে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন থামিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যশুরগাঁও এলাকায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের প্রাইভেটকার থামিয়ে তার সঙ্গে থাকা পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে। পরদিন মামলা রুজু করে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে বুধবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত মো. কামাল পহলানকে (৪২) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর সদস্য মো. আলমগীর (৪৫), রাজিব হাওলাদার (৪৩), মো. মোখলেছ (২৩), মো. রবিন (২৩) ও মোহাম্মদ হেলালকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন,২৮ রাউন্ড গুলি এবং লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন, দুটি বিদেশি হ্যান্ডব্যাগ, দুটি ডেবিট ও একটি ক্রেডিট কার্ড জব্দ করা হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ব্যবসায়ী তাজউদ্দিন ও চাইনিজ নাগরিক লিওর গাড়ি আটকে ডাকাতির করে চক্রের অন্তত ১০ স্বয়ংক্রিয় সদস্য। পরে গজারিয়া থানায় মামলা হলে,গজারিয়া থেকে রাহাত মিয়া (২১) ও মো. শাহীনকে (২২) গ্রেফতার করা হয় ।
গ্রেফতার ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের কাছে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। এই ডাকাতির ঘটনায় অন্য কোন মোটিভ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।