
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জি.এস. মালিক বলেছেন, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে- প্লেনটির আরোহীদের মধ্যে কেউই বেঁচে নেই। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনাটি অফিস ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় আরোহীদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও হতাহতের শঙ্কা রয়েছে।
তার বক্তব্য, হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। উদ্ধারকারী দল ধ্বংসাবশেষে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের প্লেনটি। স্থানীয় বি.জে. মেডিকেল কলেজের একটি ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয় সেটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ছাত্রাবাসের ওপর প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত পাঁচ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র ও একজন পিজিটি (পোস্টগ্র্যাজুয়েট রেসিডেন্ট)।
এদিকে,যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। প্লেনটিতে আরও ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন। দুর্ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। বিমানবন্দর এলাকার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ও পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে।
এখন পর্যন্ত হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি, তবে বহু হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া বলেছে, দুর্ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে ও যথাসময়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবে তারা।