লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাংশে শনিবার রাত থেকে রোববার পর্যন্ত একটানা ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। লেবাননের এক সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর হামলা কোথাও কোথাও ছিল ‘খুবই নৃশংস’।
লেবানন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, যে হামলাগুলো সবচেয়ে তীব্র ছিল তার মধ্যে একটিতে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বোমাবর্ষণ চলেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে পুরো শহর বারবার কেঁপে ওঠে, বেশ কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বিস্ফোরণের লাল-সাদা ঝলকানি দেখা যায়।
লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলি শত্রু যুদ্ধবিমান থেকে বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিগুলোতে চারটি খুবই নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে একটি হামলা হয়েছে চুয়েফাত এলাকায়। হামলার পর ওই এলাকায় কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স যেতে দেখা গেছে।’
এএফপির ভিডিও ফুটেজে যেসব এলাকায় হামলা হয়েছে, সেখান থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে।
বৈরুতের দক্ষিণে একটি এলাকা থেকে আগুনের বিশাল একটি বল আকাশের দিকে উঠে যেতে দেখা গেছে। প্রায় একঘণ্টা ধরে সেখান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া বের হয়েছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ‘বর্তমানে বৈরুতের এলাকায় সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে’।
এর আগে শনিবার রাতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছিল।
স্যাটেলাইটের ছবিতে বার্জ আল-বারাজনেহ, হারেত হারিক ও চুয়েফাত আল-আমরুসিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হওয়ার ছবি ফুটে উঠেছে।
এদিকে লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর পর ছয় দিনে ৪৪০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ইসরাইলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে। লক্ষ্যপূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযানে কোনো বিরাম আসবে না, হিজবুল্লাহকেও কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।