
২১২ রানে অস্ট্রেলিয়াকে বেধে ফেলার পর সবাই অপেক্ষায় ছিলো, দক্ষিণ আফ্রিকা কত রানের লিড দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়ার সামনে, সেদিকে; কিন্তু প্রথমদিন শেষ বিকেলেই বোঝা হয়ে গেছে, ২১২ রানই দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটারদের সামনে ‘বিশাল’ এক স্কোর।
প্রথম দিন শেষ বিকেলেই ৩০ রানে ৪ উইকেট হারায়ে প্রোটিয়ারা। দিন শেষ করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রানে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত গতির সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে প্রোটিয়া ব্যাটিং।
যে কারণে শেষ পর্যন্ত ৫৭.১ ওভার ব্যাট করে ১৩৮ রানে অলআউ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ১৮.১ ওভার বল করে ২৮ রান দিয় নেন ৬ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে অবশ্য অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এবং ডেভিড বেডিংহ্যাম মিলে খানিক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। স্কোরকে নিয়ে যান ৯৪ পর্যন্ত। কামিন্সের বলে মার্নাস ল্যাবুয়েশেনের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে পরিণত হয়ে বাভুমা ফিরে যান ৩৬ রানে। দিনের প্রথম সেশনে বাভুমার উইকেটই হারায় শুধু প্রোটিয়ারা। তখনও মনে হচ্ছিল, হয়তো শেষ পর্যন্ত ভালোই ব্যাটিং করতে পারবে তারা।
কিন্তু ১২৬ রানের মাথায় ৬ষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে কাইল ভেরাইনি আউট হওয়ার পরই দ্রুত শেষ হয়ে যায় বাকি ইনিংস। ১৩ রান করে আউট হন ভেরাইনি। মার্কো ইয়ানসেন আউট হন শূন্য রানে। কেশভ মাহারাজ রানআউট হন ৭ রানে। ১৩৫ রানের মাথায় আউট হন ডেভিড বেডিংহ্যাম। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন তিনি। কাগিসো রাবাদা আউট হতেই ইনিংস শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার।
প্যাট কামিন্সের ৬ উইকেট ছাড়াও ২ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ১ উইকেট নেন জস হ্যাজলউড।