
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে কুয়ালালামপুরে বসছে “বৈশাখী মেলা” । আগামী ২৬ এপ্রিল , শনিবার, কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গর চাইনিজ অ্যাসেম্বলি হল (KLSCAH)-এ বাংলাদেশি এক্সপ্যাটস ইন মালয়েশিয়ার (বিডিএক্সপ্যাটস) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী এই উৎসব ।
বৈশাখী মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান।
উৎসবকে ঘিরে মালয়েশিয়ার প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দিনটিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
উৎসবে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা সমবেত হবেন। পোশাক-আশাক, সাজসজ্জা, ভোজন-আড্ডা এবং সাংস্কৃতিক আয়োজনে দিনটি পরিণত হবে এক খাঁটি বাঙালিয়ানার মিলনমেলায়। বাংলা সংস্কৃতির চিরন্তন ঐতিহ্যকে ধারণ করে বৈশাখী মেলাটি শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
আয়োজকদের প্রত্যাশা, বিগত বছরের মতো এবারও মেলায় অংশ নেবেন প্রবাসীরা। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় তিন হাজার বাঙালি এই মেলায় সমবেত হবেন। মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের সিটি ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান, সিবিএল মানী ট্রান্সফার।
মেলার প্রধান আকর্ষণসমূহের মধ্যে থাকবে, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিস্কুট দৌড়, বল পাসিং, কাপল গেইমস, সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, ফ্যাশন শো, স্মৃতিচারণ সহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। থাকবে র্যাফেল ড্র যেখানে বেশ কিছু কাপল রিটার্ন টিকেট (প্লেন) সহ প্রায় ৬০ টি পুরস্কার জিতে নেয়ার সুযোগ।
স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন ও শিল্পীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও যোগ দেবেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীরা, যাঁরা এই দিনটিকে করে তুলবেন আরও রঙিন ও প্রাণবন্ত।
আয়োজকেরা জানান, অংশগ্রহণ ও আয়োজনের ব্যাপকতায় মালয়েশিয়ার বৈশাখী মেলাটি বাংলাদেশের বাইরে বর্ষবরণের অন্যতম বৃহৎ উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় মালয়েশিয়ার মূলধারার সমাজ ও প্রশাসনও এখন গুরুত্বসহকারে এই উৎসবকে গ্রহণ করেছে।
দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকবে দেশীয় খাবারের দোকান, যেমন পান্তা-ইলিশ, এবং নানা ধরনের দেশীয় পণ্যের স্টল, যা আকর্ষণ করবে সকল বয়সের দর্শনার্থীকে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার স্থানীয় ও অন্যান্য বিদেশিরাও এই বৈশাখী মেলায় অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মেলা বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে দলমত নির্বিশেষে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সকল বাঙালি-বাংলাদেশিদের বাংলা নববর্ষের এই প্রাণের উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা।