প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায় ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারানো সহজ হবে বলে বিশ্বাস রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
গতকাল শনিবার পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ কথা বলেন।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের ফলাফলে যেসব অঙ্গরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, পেনসিলভানিয়া তার একটি।
আজ রোববার পশ্চিম পেনসিলভানিয়ায় বাসে ভ্রমণ করবেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা, শুরু হবে পিটসবার্গ থেকে। আগামীকাল সোমবার শিকাগোতে ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলন চলাকালে কমলাকে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
শনিবার ট্রাম্প বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, তাঁকে (কমলা) হারানো তাঁর (বাইডেন) চেয়ে সহজ হবে।’
কমলাকে তিনি ‘মৌলবাদী’ ও ‘পাগল’ বলেছেন। কমলার নানা নীতির কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প তাঁকে চরম বাম হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
কমলা এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ‘ফ্রাকিং’ নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছিলেন।
ভূগর্ভস্থ তেল ও গ্যাস উত্তোলনের একটি পদ্ধতি হচ্ছে ‘ফ্রাকিং’। পেনসিলভানিয়ায় ‘ফ্রাকিং’ একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প।
আগে ‘ফ্রাকিং’ নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানালেও এখন কমলার নির্বাচনী শিবির থেকে তিনি ওই নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করবেন না বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশে ট্রাম্প কমলাকে ব্যক্তিগতভাবেও আক্রমণ করেন। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক অবশ্য বলছেন, এতে ট্রাম্পেরই ক্ষতি হবে; বিশেষ করে মধ্যপন্থী ভোটারদের কাছে ট্রাম্প বিরক্তির কারণ হতে পারেন।
কমলা সম্পর্কে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আপনারা কি তাঁর হাসি শুনেছেন? এটা পাগলের হাসি!’
টাইম ম্যাগাজিনের সর্বশেষ প্রচ্ছদে কমলার ছবি ছাপা হয়। সেটা নিয়েও বিদ্রূপ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে তাঁর চেয়ে অনেক ভালো।’
এদিন নিজের আগের কয়েকটি বক্তব্যও পুনর্ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প। যেমন বলেছেন, ২০২০ সালে প্রতারণার মাধ্যমে তাঁকে হারানো হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর ওপর যে ঝুঁকি তৈরি হওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা ভুয়া।
বাইডেন পেনসিলভানিয়ায় বড় হয়েছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে ওই তিন অঙ্গরাজ্য ফেরত আনেন।
পেনসিলভানিয়ায় ১৯টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হতে হলে অন্তত ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে। মিশিগানে ১৫ ও উইসকনসিনে ১০ ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে পেনসিলভানিয়া বড় পুরস্কার হতে পারে এবং সম্ভবত এই অঙ্গরাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
২০১৬ সালে পেনসিলভানিয়ায় মাত্র ৪৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জেতেন ট্রাম্প। জয়-পরাজয়ের পয়েন্ট ব্যবধান ১ শতাংশেরও কম। পরের বছর বাইডেন ৮০ হাজারের সামান্য বেশি ভোটের ব্যবধানে ট্রাম্পকে পরাজিত করেন, পয়েন্ট ব্যবধান ১ দশমিক ২ শতাংশ।
ট্রাম্প ও কমলা উভয়ের নির্বাচনী শিবির থেকেই পেনসিলভানিয়াকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।