ভয়াবহ বন্যায় ফেনীতে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ পুরুষ, পাঁচ নারী ও তিন শিশু রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মাৎ শাহীনা আক্তার।
তিনি বলেন, ১৩ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। মারা যাওয়ার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে মরদেহ উদ্ধারের তথ্য পেয়েছি।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পরশুরাম উপজেলার উত্তর ধনীকুন্ডা এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৭২), একই উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৪২), ফুলগাজী উপজেলার নোয়াপুর গ্রামের শাকিলা আক্তার (২২), উত্তর করইয়া গ্রামের বেলালের ছেলে কিরণ (২০), দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রাজু (২০), কিসমত বাসুড়া গ্রামের আবুল খায়ের (৫০), লক্ষ্মীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ তারেক (৩২), শনিরহাট গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে রজবের নেছা (২৫), ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর মন্দিয়া গ্রামের ফুরফুরের নেছা (৭৫) সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের মাবুল হকের ছেলে নাঈম উদ্দিন (২৮), ছাড়াইতকান্দি গ্রামের শেখ ফরিদের ছেলে আবির (৩), দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর করিমপুর গ্রামের নুর নবীর ছেলে নুর মোহাম্মদ মিরাজ (৮ মাস) এবং জায়লস্কর এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে জাফর ইসলাম (৭)।
মৃতদের মধ্যে ফুলগাজীতে ছয়জন, সোনাগাজীতে পাঁচজন, দাগনভূঞায় তিনজন, পরশুরামে দুজন, ছাগলনাইয়ায় একজন ও ফেনী সদরে দুজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে তারা বন্যার কারণে মারা গেছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তাদের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে ফুলগাজীতে একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এ বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, মৃতের প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।