
ফরিদপুর সদর উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে পিটুনিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে ডাকাতির চেষ্টা হয়। এ সময় এলাকার লোকজন ওই যুবককে আটক করে পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত মিরান খাঁর (৩৪) বাড়ি আলিয়াবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সাদীপুর সেতু এলাকায়। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া একটি রাইফেল, একটি পিস্তল ও একটি রামদা উদ্ধার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্র নিয়ে গুচ্ছগ্রামে হানা দেয় সাত থেকে আটজনের একটি ডাকাত দল। তারা বিভিন্ন বাড়িতে কুপিয়ে ও ভাঙচুর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এলাকাবাসী টের পেয়ে গদাধর ডাঙ্গী জামে মসজিদের মাইকিং করেন। একসঙ্গে জড়ো হয়ে তাঁরা ডাকাত দলকে ধাওয়া দেন। এ সময় মিরান খাঁকে আটক করে মারধর করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মনি শিকদার বলেন, ‘ওই ঘটনার পর রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। তবে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। আজ শুক্রবার ভোরের দিকে মিরান খাঁর আত্মীয়স্বজন এসে আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যান।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ওয়ার্ড মাস্টার ফায়েকুজ্জামান জানান, আজ সকাল ছয়টার দিকে মিরান খাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, ডাকাতি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর পিটুনিতে এক ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণের পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।