
ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করার পর পারভেজ হোসেন ইমন এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই; কিন্তু ৮৪ রানের মাথায় আউট হয়ে গেলেন লং অফে ক্যাচ তুলে দিয়ে; কিন্তু এ যাত্রায় বেশ ভাগ্য ভালো বলতে হবে ইমনের। বোলার মাতিউল্লাহ ছিলেন ওভার স্টেপড। নো বল। বেঁচে গেলেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার।
অবশেষে ম্যাজিক্যাল তিন অংকের ছোঁয়াও পেয়ে গেলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ৫৩ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে গেলেন এই তরুণ ব্যাটার। ৮ম ম্যাচ খেলে তিন অংকের দেখা পেলেন তিনি। যদিও সেঞ্চুরি করার পরই আউট হয়ে যান ইমন।
ততক্ষণে অবশ্য দলকে বড় ইনিংস গড়তে বিশাল ভূমিকা রাখেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আরব আমিরাতের সামনে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় বাংলাদেশ। আমিরাতের বোলারদের সামনে বলতে গেলে একাই লড়াই করলেন পারভেজ হোসেন ইমন।
২০২২ সালে অভিষেক। এরপর দেখতে দেখতে ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু একবারও হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলক পার হতে পারেননি। এবার সেই বাধাটা পার হয়ে গেলেন তিনি আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদশে। তানজিদ তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামেন পারভেজ হোসেন ইমন। একপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও অন্যপ্রান্তে ঠিকই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন পারভেজ।
২৮ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ৩টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ছক্কা মেরে এই মাইলফলকে পৌঁছান। এরপর ৫৩তম বলে ৫টি বাউন্ডারি আর ৯টি ছক্কায় সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
একদিকে উইকেট পড়লেও অন্যপ্রান্তে ধরে রাখেন পারভেজ। টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর প্রথম ওভারেই ঝড় তোলার চেষ্টা করেন তানজিদ তামিম। ১টি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে মাতিওউল্লাহর একটি আউটসুইঙ্গার বলে বোকার মত খোঁচা দিতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে যান ১০ রান করে।
লিটন দাসও রান করেন মাত্র ১১। তাওহিদ হৃদয় চেষ্টা করেন একটি জুটি গড়ার। ১৫ বলে ২০ রান করেন তিনি। ৫৮ রানের জুটি গড়ে আউট হয়ে যান তাওহিদ হৃদয়। শেখ মেহেদী হাসানকে নামানো হয় পাঁচ নম্বরে। কিন্তু ৫ বলে ২ রান করে আউট হন তিনি।
জাকের আলি অনিকও বড় কোনো জুটি গড়তে পারেননি। ১৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন তিনি। শামীম হোসেন পাটওয়ারিকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হলেন। ৫ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি। তানজিম হাসান সাকিব ৭ রানে এবং তানভির ইসলাম অপরাজিত থাকেন ১ রানে।
আরব আমিরাতের বোলার মোহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ ২১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।