পাকিস্তানে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে দুইদিনের জন্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
লাহোর শহরের পূর্বাঞ্চলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এমন খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর চারটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
যৌন হয়রানির ঘটনা পাকিস্তানে খুব সাধারণ। তবে এ ব্যাপারগুলো তেমন একটা সামনে আসে না। তাছাড়া বিক্ষোভও সাধারণত দেখা যায় না।
বৃহস্পতিবার সহিংসতা শুরু হয় যখন পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি শহরের একটি ক্যাম্পাসের বাইরে কয়েকশ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ দেখায়। তারা আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয় ও কলেজভবন ভাঙচুর করার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে ২৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী।
গুজরাটে বুধবার বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন। নিহতের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।