
প্রথম ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়। আরও একবার নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ধরাশায়ী করলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এবার ৩৪৪ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে ৮৭ রানে জিতেছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
এই জয়ে তিন ম্যাচের অনানুষ্ঠানিক ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে শেষ ওয়ানডে ১০ মে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা কিউইদের ৪৩.১ ওভারে ২৫৭ রানে গুটিয়ে দেন মোসাদ্দেক-শরিফুলরা। কিউই ব্যাটারদের মধ্যে ওপেনার ডেল ফিলিপস ঝোড়ো শুরু করেছিলেন। একটা সময় ১ উইকেটেই ৯৯ রান তুলে ফেলেছিল কিউইরা।
সেখান থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় বাংলাদেশ। দুইশর আগে (১৯৫ রানে) ৭ উইকেট হারানো কিউইরা আর লড়াই করতে পারেনি। ফিলিপস ৫৪ বলে করেন ৭৯ রান। শেষদিকে ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ক ৩৬ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমান।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার মোসাদ্দেক হোসেন। ৫০ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন তিনি। দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম আর শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
এর আগে নুরুল হাসান সোহান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৪৪ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ ‘এ’।
আজ বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১২ রানে পতন হয় ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের। ১০ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।
দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি করেন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাইম। ৩৪ বলে ৩৯ রান করে অপ্রত্যাশিত রানআউটের শিকার হন বিজয়। ৪১ বলে ৪০ রান করে ফেরেন নাইম।
চতুর্থ উইকেটে ২২৫ রানের বিশাল জুটি করেন সোহান ও অংকন। দু’জনই হাঁকান সেঞ্চুরি। ১০১ বলে ১১২ রানের (৭টি করে চার ও ছক্কা) দুর্দান্ত ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সোহান।
ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন অংকন। ১০৮ বলে ১০৫ রানের (৭ চার ও ৫ ছক্কা) অনবদ্য ইনিংস খেলেন ডানহাতি এ ব্যাটার। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১০ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ক।