নরসিংদীতে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বালুসাইর এলাকার হোম টেক্সটাইলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন: উপজেলার মহিষাশুড়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী ও ঝুট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম (৪৫), সুমন (২৪), জুয়েল মিয়া (২৭)। এদের মধ্যে আহত সাইফুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আহতরা সবাই সাইফুল গ্রুপের সমর্থক।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার বিভিন্ন কাপড়ের কারখানার ঝুটের নিয়ন্ত্রণ ছিল মহিষাশুড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহবায়ক সমীরের হাতে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপির কর্মী সাইফুল ইসলাম। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মামুন গ্রুপের লোকজন ওই এলাকার হোম টেক্সটাইল থেকে ঝুটের মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় সাইফুলসহ তার লোকজন বাধা দেন। পরে নরসিংদী শহর থেকে কিছু লোকজন গিয়ে মামুনের পক্ষে সাইফুল ইসলাম গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা করে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিপেটা করেন।
এ ঘটনায় সাইফুল, সুমন ও জুয়েল আহত হন। আহত সাইফুলকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আহত সাইফুলের ভাই ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমরা ঝুট ব্যবসার জন্য বিভিন্ন কারখানাকে অগ্রিম টাকা দিয়েছি। কিন্তু ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মামুন ও তার লোকজন কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে যায়। আমার ভাই কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কোনো কথাবার্তা ছাড়াই নরসিংদী শহর থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। আমার ভাই আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
আহত জুয়েল মিয়া বলেন, ‘আমরা হোম টেক্সটাইলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ মামুনের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার দাবি করছি।’
তবে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তছলিম উদ্দিন বলেন, ‘দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শনে গেছে। কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’