বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলা অবস্থাতেই প্রথমবারের মতো বাবা হওয়ার সুসংবাদ পেয়েছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। নবজাতক সন্তানের মুখে দেখার জন্য এই বাঁহাতি পেসারকে করাচিতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে দ্বিতীয় টেস্টে খেলার কথা ছিল না শাহিন আফ্রিদির।
কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর দুই দিন আগে শাহিনকে ফের দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়। বোর্ডের কথা মতো পরিবার থেকে বিদায় নিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেন শাহিন। অথচ পরের দিন সবাইকে চমকে দিয়ে শাহিনকে বাদ দিয়ে ১২ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে পাকিস্তান।
গত দুই দিনের এসব নাটকীয়তা পাকিস্তানের ক্রিকেটে তৈরি করেছে ব্যাপক সন্দেহ। কেউ কেউ পাচ্ছেন ষড়যন্ত্রের গন্ধও।
দেশটির গণমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ তাদের নিজস্ব সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, টিম ম্যানেজমেন্টের অনেক ব্যক্তি শাহিন আফ্রিদিকে পছন্দ করেন না। বাঁহাতি এই পেসারকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা মূল ভূমিকা রেখেছেন।
ব্যাপারটি নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটে দুই দিন ধরেই জল ঘোলা করা হচ্ছিল। ব্যাপারটি মীমাংসা করতে অবশেষে শাহিন আফ্রিদিকে বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়ার জন্যই শাহিন আফ্রিদিকে স্কোয়াডে নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পিসিবি। এ সংক্রান্ত বিবৃতিও প্রকাশ করে সংস্থাটি।
পিসিবির অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট শাহিন শাহ আফ্রিদিকে তার পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য টেস্ট স্কোয়াড থেকে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কারণে ২০ থেকে ২৫ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অংশ নেওয়া শাহিন দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের জন্য বৃহস্পতিবার ঘোষিত ১২ সদস্যের দলে নেই।’
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট পেয়েছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেটই হারায়নি বাংলাদেশ। যে কারণে এই ইনিংসে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে শাহিন আফ্রিদিকে।
প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে স্বাগতিকদের ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারায় টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়। এমনকি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এবারই প্রথম ১০ উইকেটে জয় পেল বাংলাদেশ।
এই হারের পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পেছনে পড়ে যায় পাকিস্তান। বর্তমানে র্যাংকিংয়ের সপ্তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে এক ধাপ পিছিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান অষ্টম স্থানে।