দুই দফা শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে জাপান। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রথমে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার
শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপরেই ৭ দশমিক ১ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর। কিউশু এবং শিকোকু দ্বীপপুঞ্জের কিছু উপকূলীয় এলাকায় এক মিটার পর্যন্ত সুনামি আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কয়েক দফা সুনামি আঘাত হানতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়। জাপানের আবহাওয়া দফতর সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জনসাধারণের উদ্দেশে বলেছে, সতর্কতা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত দয়া করে সমুদ্রে প্রবেশ করবেন না বা উপকূলের কাছে যাবেন না।
তবে দুই দফা শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প থেকে প্রাথমিক ভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ৪টা ৪২ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ৩৩ কিলোমিটার। এটি কিয়ুশুর মিয়াজাকি থেকে ২৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে।
প্রথম ভূমিকম্পের এক মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৬ মিটার এবং এটি মিয়াজাকি থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ভূমিকম্পের পরপরই প্রতিক্রিয়া জানাতে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে জাপান সরকার।
জাপান অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। প্রতি বছর সেখানে অন্তত ১ হাজার ৮০০টি ভূমিকম্প হয়, যা গোটা পৃথিবীর ১৮ প্রায় শতাংশ। দেশটির ঘরবাড়িগুলোও সেই মতো করে তৈরি করা হয়। এ কারণে ক্ষয়ক্ষতিও হয় কম।
এর আগে গত ২ এপ্রিল দেশটির উত্তরে অবস্থিত ইওয়াতে এবং আওমোরি অঞ্চলে আঘাত হানে এ ভূকম্পন। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬। তবে এর জন্য কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ২৪ মিনিটে ইওয়াতে উপকূলে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭১ কিলোমিটার গভীরে।