
অতিরিক্ত গাড়ির চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে যাত্রী ও চালকদের।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে পুলিশ সদস্যরা যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাসের যাত্রী মোহাম্মদ শাকিল বলেন, দেড় ঘণ্টা ধরে একই স্থানে বসে রয়েছি। টোল আদায়ের ধীরগতির কারণে এমন হয়েছে৷ প্রশাসন ঠিকমতো কাজ করছে না। এতে যানজটে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

আরেক যাত্রী মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জাগো নিউজে বলেন, মহাসড়কে খুব যানজট। রাস্তায় তেমন পুলিশ নেই। নিয়মশৃঙ্খলা ঠিকমতো কেউ পালন করছে না। প্রশাসন ঠিকমতো তদারকি করলে যানজট নিরসন হবে৷
যাত্রী মনিরুজ্জামান চৌধুরী সাজু জাগো নিউজকে বলেন, ঈদ করার জন্য রংপুরে যাবো। রাতে গাড়িতে উঠেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত যমুনা সেতু পার হতে পারিনি। গাড়ির কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। যে যার মতো করে যাচ্ছে।
রংপুরগামী বাসের চালক মোহাম্মদ নূর ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রাত ১২টা থেকে বিভিন্ন স্থানে যানজট। খাওয়া দাওয়া ঠিকমতো করতে পারিনি। এখন কী করবো? এভাবেই দুর্ভোগ নিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে৷
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে আশেরপুর বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, হঠাৎ করে মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে করে যমুনা সেতু দিয়ে সিরাজগঞ্জ অংশে গাড়িগুলো ঠিক মতো পার হতে পারছে না। যার কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত গাড়ির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সকালে শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ির চাকা খুলে যায়। এতে গাড়িটি সরাতে দেরি হওয়ার দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। তবে যানজট নিরসনে আমরা নিরসলভাবে কাজ করছি।