বাংলাদেশ সিরিজ বাঁচাতে পারবে তো? ১-১ সমতায় ফিরতে পারবে তো? নাকি টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করবে। এ মুহূর্তে এ দুটি প্রশ্নই ভক্ত-সমর্থকদের মনে উঁকি দিচ্ছে।
গত বুধবার (৬ নভেম্বর) শারজায় তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আগামীকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) সিরিজ বাঁচাতে মাঠে নামবে টাইগাররা। সিরিজে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। অন্যদিকে বাংলাদেশ হারলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিবে আফগানিস্তান।
এ কঠিন সমীকরণ সামনে রেখেই শনিবার বিকেল ৪টায় মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচের চালচিত্রকে মানদণ্ড ধরলে বলতে হয় ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই জয়ের পথ থেকে ছিটকে ৯২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
একটা সময় মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে জয়ের পথেই হাঁটছে। কিন্তু আফগানিস্তানের অফস্পিনার গজনফার তৃতীয় স্পেল শুরু করার পর ভোজবাজির মতো পাল্টে যায় দৃশ্যপট। প্রথম দুই স্পেলে ২ উইকেট পাওয়া গজনফার তৃতীয় স্পেলে বল করতে এসে প্রথম ওভারে ফিরিয়ে দেন সেট ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজকে।
গজনফারের পরের ওভারেই মুশফিকুর রহিম, রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদকে আউট হলে নাটকীয়ভাবে বদলে যায় খেলার চিত্র। শেষ দিকে মাত্র ২৩ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গজনফার একাই নেন ২৬ রানে ৬ উইকেট।
কাজেই আগামীকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) শারজায় সবার আগে বাংলাদেশের ব্যাটারদের করণীয় কাজ হলো- আফগান অফস্পিনার গজনফারকে সামলানো। তার বলে মুখ থুবড়ে পড়া চলবে না।
এখন দেখার বিষয়, প্রথম ওয়ানডেতে গজনফারের স্পিন ঘূর্ণিতে নাকাল হওয়া বাংলাদেশের ব্যাটাররা শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা?
আগের ম্যাচে স্পিনাররা আহামরি বোলিং করতে না পারলেও দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান ৪টি করে উইকেট দখলে নিয়ে আফগানদের ২৩৫ রানে বেঁধে ফেলেন।
তাসকিন ও মোস্তাফিজ উইকেট নিলেও রান খরচ করে ফেলেছেন বেশি। ডানহাতি পেসার তাসকিন ১০ ওভারে ৫৩ রান আর বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ ১০ ওভারে খরচা করেছেন ৫৮ রান।
বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সমীহ জাগানো বোলিং করেছেন অফস্পিনার মিরাজ (১০ ওভারে ৩০ রান, উইকেট নেই)। তার পরে আছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম (৯.৪ ওভারে ৩২ খরচায় ১ উইকেট)। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন (৮ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৬ রান) তেমন কার্যকর রূপ নিতে পারেননি।
তবুও বলতে হয় বোলাররা খারাপ করেনি। তাদের বোলিংয়েই ২৩৫ রানের আটকে ছিল আফগানিস্তানের ইনিংস। কিন্তু ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় ওই মাঝারি স্কোরও টপকানো সম্ভব হয়নি। উল্টো ১৪৩ রানেই ইনিংস শেষ হয়। কাজেই শেষ কথা হলো- ব্যাটিংটা ভালো করতেই হবে আগামীকাল। তবেই টাইগারদের সিরিজে ফেরা সম্ভব।