
ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে রাশিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এসব কথা বলেছেন। খবর আরটি।
গত বছর জেলেনস্কির প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই ইউক্রেনের পক্ষে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় তার কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাশিয়া। তবুও মঙ্গলবার পেসকভ বলেন, যদি শান্তি অর্জন লক্ষ্য হয় তবে পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপের জন্য প্রস্তুত।
মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, পুতিন বারবার জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য তার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।
পেসকভ আরও বলেন, পুতিন ধারাবাহিকভাবে কূটনৈতিক উপায়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অন্য পক্ষ তা করেনি। বিশেষ করে ইউক্রেন; দেশটি শান্তি আলোচনায় রাশিয়াকে সম্পৃক্ত করেনি। ইউরোপীয়রাও যেকোনো মূল্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। ওয়াশিংটনের আগের প্রশাসনও এটিকে চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সমর্থন দিয়েছিল।
এদিকে, একই দিনে রিয়াদে শুরু হওয়া বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান ও আমেরিকান-রুশ সম্পর্ক পুনর্স্থাপনের বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পথ খুলে যেতে পারে।
যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত সপ্তাহে টেলিফোনে আলোচনার পর রিয়াদে এই বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। তবে বৈঠকে ইউক্রেনের কোনও প্রতিনিধি না রাখায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভকে ছাড়া কোনও শান্তিচুক্তি মানবে না ইউক্রেন। তিনি বলেছেন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমাদের অংশগ্রহণ ছাড়া আমরা এ ধরনের কোনও চুক্তি মেনে নেব না।
বৈঠকে পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইয়োরি উশাকভ ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ অংশ নিয়েছেন।