ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ‘ইন্ডিয়া’ জোট ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এসি) নেতা ওমর আবদুল্লাহ। এই নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ওমর।
তার এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, ডিএমকের কে কানিমোঝি এবং সুপ্রিয়া সুলে। এককথায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শীর্ষ নেতাদের অনেককেই দেখা গেছে সেখানে।
ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন আরও পাঁচ বিধায়ক। উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন সুরেন্দ্র সিং চৌধুরী। ওমরের মন্ত্রিসভায় তিনি ছাড়াও জম্মুর প্রতিনিধিত্ব করছেন আরও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সতীশ শর্মা। তারা ওমরকে নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয়; বুধবার শপথ গ্রহণের পর ওমর আবদুল্লাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য শ্রী ওমর আবদুল্লাহকে অভিনন্দন। জনগণের সেবা করতে তার প্রচেষ্টার জন্য তাকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাই। জম্মু ও কাশ্মীরের অগ্রগতির জন্য কেন্দ্র তার এবং তার দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
গেল বছর ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) ঠেকাতে ২৮টি বিরোধী দল নিয়ে গঠিত হয় ইন্ডিয়া জোট। ভারতের ১৮ তম সাধারণ লোকসভা নির্বাচনে এর ভালো ফলও পেয়েছে জোটটি।
পিটিআইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দীর্ঘ ১০ বছর পর গেল সেপ্টেম্বরে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে ৯০টি আসনের মধ্যে ৪২টিতে জয় লাভ করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স, ছয়টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ২৯টি আসন।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে বিজেপি সরকার। সে সময় কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের অনেক নেতাকর্মী। সেসময় ওমর আবদুল্লাহ দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিলেন।