
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড আলমগীর ও তার ভাই রাজীবের রিমান্ড মঞ্জর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওই দুই আসামির সাতদিনের রিমান্ড চান আদালত। শুনানি শেষে বিচারক রুমি খাতুন আলমগীরের ৬ দিন ও রাজিবের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান জেলা কোট ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান।
তারা হলেন: ঢাকা জেলার আশুলিয়ার পশ্চিম পলাশবাড়ি এলাকার মো. আলমগীর ও তার সহোদর মো. রাজিব হোসেন। তারা আন্তঃজেলার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
এর আগে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় একজনকে নেত্রকোনা ও অপরজনকে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় এ ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি দেশীয় অস্ত্র, নগদ ৪২১০ টাকা, দুটি রুপার আংটি, বিভিন্ন মডেলের দশটি মোবাইল ফোন, নারী যাত্রীদের থেকে লুণ্ঠিত দুই জোড়া মোটা ও তিন জোড়া চিকন এ্যামিটিশনের চুড়ি, তিনটি ব্যাগ, যাত্রীদের এনআইডি কার্ড ও এটিএম কার্ড।
এর আগে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে মির্জাপুর এলাকায় ৩ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় ডাকাতদল। এ ছাড়া শ্লীলতাহানি করা হয় দুই নারী যাত্রীকে। এরপর কয়েকজন যাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে ডাকাতির ঘটনা তুলে ধরেন থানার ডিউটি অফিসার আমলে না নিলে থানা ত্যাগ করেন যাত্রীরা।
পরে যাত্রীবাহী বাসটি নাটোরে পৌঁছালে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চায় যাত্রীরা। বাস যাত্রীদের হাতে আটক বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে ঘটনাস্থল টাঙ্গাইল জেলায় হওয়ায় সেখানে মামলা করার পরামর্শ দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম। এরপরে কেউ মামলা না করায় পুলিশ ৫৪ ধারায় তাদের আদালতে পাঠালে জামিনে মুক্ত হন সবাই।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সময়মতো অবহিত না করায় ওসি সিরাজুল ইসলামকে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ক্লোজড করে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার দায়ে মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি রাতে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িত তিন ডাকাতকে সাভার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে আদালতে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপর একজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।