
গাজায় গত ৩৬ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় ১৮৩ শিশুসহ অন্তত ৪৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৭৮ জন। বুধবার (১৯ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এর ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৫৪৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ১২ হাজার ৫৪৭ জন।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে, যেহেতু ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘের স্থাপনায় হামলা
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেইর আল-বালাহতে জাতিসংঘের একটি স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলায় এক বিদেশি কর্মী নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
এছাড়া নুসাইরাত এবং গাজা সিটিতেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকরা।
গাজার পরিস্থিতি ‘গ্রহণযোগ্য নয়’: ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান কায়া কালাস জানিয়েছেন, গাজার পরিস্থিতিকে তিনি ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে ইসরায়েলকে অবহিত করেছেন।
সমঝোতার পথ খোলা: হামাস
হামাসের কর্মকর্তা তাহের আল-নোনো বলেছেন, ইসরায়েলের নতুন হামলার পরও তারা আলোচনার পথ পুরোপুরি বন্ধ করেনি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, নতুন কোনো চুক্তির প্রয়োজন নেই, বরং বিদ্যমান সমঝোতাকে সম্মান জানিয়ে বাস্তবায়ন করলেই চলবে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলে বিক্ষোভ
যুদ্ধ ফের শুরুর প্রতিবাদে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের দিকে পদযাত্রা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। দেশটির বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন।
কট্টরপন্থিদের ক্ষমতায় ফেরানোয় উত্তেজনা
ইসরায়েলের উগ্র-ডানপন্থি নেতা ইতামার বেন-গভিরকে আবারও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নেতানিয়াহুর জোট সরকার আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
‘হামলা কেবল শুরু’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নতুন হামলা ‘মাত্র শুরু’ হয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি আলোচনা এখন ‘গুলির মধ্যেই’ হবে।
এ অবস্থায় গাজায় সহিংসতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।