
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ১২ জন রয়েছেন।রাতভর চলা হামলায় আরও দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের কাছে উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারছে না। তাছাড়া উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জামও ধ্বংস হয়ে গেছে ইসরায়েলি বোমা হামলায়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে বর্বর ইসরায়েল। এসব হামলায় গাজায় ৬০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৩৫৫ জনে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় উত্তর গাজার জাবালিয়ায় একই পরিবারের ১২ জন নিহত হয়েছেন।
পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, বৃহস্পতিবার রাতভর ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ১৫২ জন আহত হয়েছেন। তাদের গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৪৮ জনে পৌঁছেছে।
গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আরও ৫ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাজা সংকট বিষয়ে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ -এর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজ্জারিনি সতর্ক করেন, গাজায় দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সম্মিলিতভাবে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজার সবাই ক্ষুধার্ত কিন্তু খাদ্য নেই। চারিদিকে ক্ষত-বিক্ষত আহত রোগী কিন্তু ওষুধও ফুরিয়ে গেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।