
গাজায় বুধবার (১৯ মার্চ) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসেও সেখানে বর্বর হামলা চালানো হচ্ছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে মঙ্গলবার থেকে চলা হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৩ জনই শিশু। গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতি ভেঙে মঙ্গলবার গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে তীব্র যুদ্ধের পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েল ‘বৃহত্তর এবং শক্তিশালী’ হামলা চালাতে পারে।
এর আগে নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজায় বিমান হামলার ঘটনা কেবল শুরু। সেখানে রাতভর ইসরায়েলি আগ্রাসনে শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের ওপর ‘ক্রমবর্ধমান শক্তি’ ব্যবহার করবে এবং ভবিষ্যতের যুদ্ধবিরতি আলোচনা ‘শুধু আক্রমণের মুখে’ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় হামাস আমাদের বাহিনীর সক্ষমতা বুঝতে পেরেছে এবং আমি আপনাদের এবং তাদের আশ্বস্ত করতে চাই এটা কেবল শুরু।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের সকল লক্ষ্য অর্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব আমাদের সকল জিম্মিকে মুক্তি, হামাসকে নির্মূল করা এবং গাজা আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে থাকবে না এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত সেখানে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৫৪৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১ লাখ ১২ হাজার ৫৪৭ জন।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।