উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। সেখানে আরও অনেকে আহত হয়েছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শেষ করতে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে শুক্রবার আলোচনা আবার শুরু হবে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা বৃহস্পতিবার একটি গঠনমূলক দিনের আলোচনা শেষ করেছে এবং আলোচনা আজও চলবে।
গাজায় গত প্রায় ১০ মাস ধরে চলা সংঘাতে ৪০ হাজার পাঁচজন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯২ হাজার ৪১০ জন। ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতদের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজারই ফিলিস্তিনি শিশু। একটি মানবাধিকার সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত চলা সংঘাতে নিহত শিশুদের মধ্যে দুই হাজারের বেশি শিশুই দুই বছরের কম বয়সী।
জেনেভা-ভিত্তিক ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি শিশুদের সংখ্যা ভয়ঙ্কর এবং আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে এই সংখ্যা নজিরবিহীন বলা যায়।
গাজায় সেখানে মসজিদ, স্কুল, হাসপাতালসহ এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে হামলা চালানো হয়নি। গাজার সর্বত্রই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।
এর আগে গত শনিবার (১০ আগস্ট) গাজার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১০০ জনেরও বেশি নিহত হয়। স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাতিসংঘ।
ইসরায়েলের এই হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট পার্থী কমলা হ্যারিসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফিল গর্ডন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা অ্যাকশন ফর হিউম্যানিটি বলেছে, গত কয়েকদিনে গাজার সাতটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের উচিত, ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া। কারণ এসব অস্ত্র ব্যবহার করে নেতানিয়াহু বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে।