
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করে ক্যামেরা-ল্যাপটপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৭ মে) বেলা ২টার দিকে কাপাসিয়ার চাঁদপুর ইউনিয়নে চেরাগআলী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সন রকি হোসেন (২৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি।
জানা গেছে, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী মোড় এলাকায় এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সেলিম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা দেড়টার দিকে মতবিনিময় সভা শেষ হলে কাপাসিয়া থেকে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের নাম ধরে স্লোগান দিতে দিতে একদল উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা চেয়ার, টেবিল, মাইক, সাউন্ড বক্স ও প্যান্ডেল গুঁড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে তারা একটি কক্ষে বসে থাকা সাংবাদিকদের ওপরে চড়াও হয় ও হামলা চালায়। এসময় যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সন রকি হোসেন ক্যামেরা দিয়ে ছবি ধারণ করতে গেলে তাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধরে নিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।
হামলাকারীরা যমুনা টিভির ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, আইডি কার্ড, লাইভ ডিভাইস ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছে।

পরে অন্য সাংবাদিকরা রকিকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন সেলিম জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে একটি মতবিনিময় সভা করছিলাম। সভা শেষ হওয়ার আধাঘণ্টা পর কাপাসিয়া থেকে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে একদল নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা প্যান্ডেল, মাইক ও আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সনকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। তিনি এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও বিচারের দাবি জানান।
গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, কারা হামলা করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই। যারা ওই সভার আয়োজন করেছিলেন এই ঘটনার জন্য তাদেরকেই দায়দায়িত্ব নিতে হবে।