
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মাছের ঘের কাটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জালাল ফকির (৪৫), মেহেদী ফকির (২০), পলাশ ফকির (৩৫), আলামিন ফকির (৩০), রবিউল ফকির (২৫), রিয়াজ ফকির (২২), মিরাজ ফকির (৪৫), সুফিয়ান ফকির (২০), রফিকুল ফকির (৫৫), গাউস ফকির (৩৮), মনিরুজ্জামান ফকির (৪৫), আব্বাস আলী ফকির (৩৫), আকাশ ফকির (১৩), নাসির ফকির (২০)। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ষাপাড়া গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের মোকসেদ আলী ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে জমিতে মাছের ঘের কাটা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই শুক্রবার সকালে মোকসেদ আলীর লোকজন ইউপি সদস্য ইব্রাহিমের লোকজনকে মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির বলেন, ‘আমার বিলে একটি মাছের ঘের নিয়ে মোকসেদ আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে। শুক্রবার সকালে আমার লোকজন মোকসেদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মারধর করা হয়। আমি ঠেকাতে গেলে আমাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে আমার অন্তত ২৫ জন লোক আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে মোকসেদ আলীর ছেলে আলামিন ফকির বলেন, ইব্রাহিম ফকির কিছুদিন আগে আমাদের জমিতে জোর করে মাছের ঘের কাটছিলেন। বাধা দিলে তারা ফিরে যান। শুক্রবার আবার ঘের কাটতে এলে আমরা বাধা দিই। এ সময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, এতে আমাদের কয়েকজনও আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এলাকার পরিবেশ বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।