প্রতিকূলতার মধ্যেও কেরালার ওয়েনাডে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, কেরালার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, রাষ্ট্রীয় জরুরি সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় জনগণ। উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে ততই যেন স্পষ্ট হচ্ছে পরিস্থিতির ভয়াবহতা। ধ্বংসস্তুপ সরালেই উদ্ধার হচ্ছে লাশ।
ওয়েনাডে ভয়াবহ ভূমিধসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দেড়শো জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও প্রায় দুই শতাধিক মানুষ নিখোঁজ।
স্থানীয়দের মতে নিখোঁজদের জীবিত থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। ওয়েনাডের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের কারণে হাজার হাজার টন পাথর ও মাটির যে স্তূপ তৈরি হয়েছে, তা খুঁড়ে উদ্ধারের কাজ চালানো খুব কঠিন। ওয়েনাডের বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্রায় নিশ্চিহ্ন। স্থানীয় চার্চ, স্কুল-কলেজের যা অবশিষ্ট আছে, সবকিছুকেই ব্যবহার করা হচ্ছে দুর্গতদের আশ্রয়স্থল ও চিকিৎসার জন্য।
কেরলার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, দু’দিনের অভিযানে দেড় হাজার জনের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, আমাদের রাজ্য এমন বেদনাদায়ক দৃশ্য আগে কখনও দেখেনি।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও ওয়ানডের আশাপাশে প্রবল বর্ষণ হতে পারে। ফলে বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে।