
হাবিবুর রহমান মুন্না।।
১ কোটি টাকা বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কুমিল্লা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নতুন কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা, মাদক ব্যবসায়ী এবং আওয়ামী রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতরা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। যদিও কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনও আওয়ামী দোসররা উপস্থিত রয়েছেন, ফলে এ কমিটিও দোসরমুক্ত হয়নি।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে কুমিল্লা সদরের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার মেডিসিন কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি মোরশেদুল হক খোকন এই দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে খোকন বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী দোসরদের একটি অংশ তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা দাবি করেছেন যে কুমিল্লায় দুই ব্যক্তি ঔষধ ব্যবসায়ীদের জিম্মি রেখেছেন। তবে বাস্তবে চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে, যেটি নিহতের পরিবার যাচাই-বাছাই করে করেছেন। এতে আমাদের কোনো হাত নেই কারণ এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা এবং প্রশাসনও রয়েছে।
অথচ, আওয়ামী দোসররা এখন শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। প্রকৃতপক্ষে, তারা অবৈধ মেডিসিন ব্যবসায় জড়িত এবং মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। বিভিন্ন সময় তাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। নতুন কমিটিতে আটজন আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছেন, যারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং তারা দলীয় অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল আলীম ভূইয়ার সাথে কুমিল্লা সদরের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহার, চান্দিনা সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল এবং স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের সাথে মোঃ আব্দুল আলীমের উপস্থিতির ছবি রয়েছে। তিনি ১৯৯৬ সালে গ্লাক্সো ফার্মাসিটিক্যালস থেকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এবং ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
এই কমিটির সিনিয়র সভাপতি মোঃ নুরুল আলম চৌধুরীর (নোমান) মা নাজমা আক্তার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন। কমিটির সহ-সভাপতি এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান (শাহজাহান) আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
তাছাড়া, আরও কয়েকজন সদস্য আওয়ামী লীগের সমর্থক ও অর্থ যোগানদাতা ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছেন মেসার্স নিউ গ্রিণ ফার্মেসীর মালিক এনায়েত উল্লাহ, মেসার্স নাড়িখান মেডিকেল হলের মালিক মোঃ শামীম এবং মেসার্স যমুনা মেডিকেল হলের মালিক নিখীল চন্দ্র দত্ত।
আওয়ামী দোসর, অর্থ যোগানদাতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই কমিটি গঠন নিন্দনীয়। আমরা চাই অতিসত্বর এই দোসরদের কমিটি বিলুপ্ত করে একটি নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনের পরে মেডিসিন কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।