
নতুন স্বপ্ন, উদ্যম ও প্রত্যাশার আলোয় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রবাসীদের নিয়ে বাংলা বর্ষবরণ, বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব করেছে মিশরের বাংলাদেশ দূতাবাস।
এশিয়ার বাংলাদেশ এবং নীলনদ তীরের প্রাচীনতম সভ্যতার দেশ মিশরের মধ্যে হাজার মাইলের ভৌগোলিক দূরত্ব। এই দুই দেশের ভাষা, প্রকৃতি, সংস্কৃতিও ভিন্ন।
জীবিকা ও পেশাগত দায়িত্বের প্রয়োজনে দেশটিতে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির বসবাস। একাকী প্রবাস জীবনে পরিবার, আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা এবং দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারা বছর হা-হুতাশ করা এই প্রবাসীদের হাজার মাইলের দূরত্ব আর সাংস্কৃতিক ভিন্নতর কষ্ট ভুলাতে এবার পহেলা বৈশাখে এমন বর্ণাঢ্য আয়োজন করে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
সোমবারের এ অনুষ্ঠানে রাজধানী কায়রো ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ সবার সাথে মিশে যান ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ছোট আর বড়দের রঙ-বেরঙের বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশীয় পোশাক, সাজসজ্জা, ভোজনরসিক বাঙালির প্রিয় পিঠা-পায়েস আয়োজন আর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণটি হয়ে ওঠে আনন্দমুখর বাংলাদেশের প্রতিকৃতি।

সোমবারের এ অনুষ্ঠানে রাজধানী কায়রো ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ সবার সাথে মিশে যান ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ছোট আর বড়দের রঙ-বেরঙের বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশীয় পোশাক, সাজসজ্জা, ভোজনরসিক বাঙালির প্রিয় পিঠা-পায়েস আয়োজন আর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণটি হয়ে ওঠে আনন্দমুখর বাংলাদেশের প্রতিকৃতি।

দেশের সীমানা পেরিয়ে সুদূর বিদেশের মাটিতে নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরার এ প্রয়াস দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ এবং দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠত্বেরই বহিঃপ্রকাশ।
বিকেল থেকেই দূরদূরান্ত থেকে প্রবাসীরা রঙ-বেরঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ পরে আসেন বৈশাখী মেলায় অংশ নিতে।

পান্তা ইলিশ, চেপা শুটকির ভর্তা, চিতই ও নকশিসহ বিভিন্ন পিঠা, সিঙ্গারা, সমুচা, ঝালমুড়ি, জিলাপি ও রসমালাই নানা পদের মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি রকমারি পণ্যের স্টল বসেছিলো দূতাবাস প্রাঙ্গণে।
এরপর বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরে সাহিত্য সম্ভার, কবিতাপাঠ, বৈশাখের ওপর সমবেত একক ও দ্বৈত গান, পুরুষ, নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও আবৃত্তি হয়। শিশু-কিশোর ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে করে তুলেছিল প্রাণবন্ত।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, আল-আজহারসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, চিকিৎসক, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।