তিনি বাংলাদেশের জনগনের প্রধানমন্ত্রী দাবী করলেও ছিলেন বিনা ভোটের জনসমর্থনহীন স্বৈরাচারী লেডি হিটলার। পৃথিবীর ইতিহাসে RAB ও অনুগত বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে নিষ্ঠুরতম ভিন্ন মতাবলম্বী হত্যাকারী ।
তিনি আওয়ামীলীগের সংগঠনকে ব্যবহার করলেও— ছিলেন চাটুকার ও দুর্নীবাজ আমলা-মন্ত্রী পরিবেষ্টিত। তার অফিসকে তিনি ব্যবহার করেছেন দেশের জন্য নয়—এস আলম গ্রুপ, ব্যাংক খেকো আবদুল হাই, নগদ,
সামিটগ্রুপ, এক্সিম নজরুল, দরবেশ বাবা, লক্ষ-কোটি ডলার পাচারকারী কয়েকজন বিলিওনারের জন্য। তার স্বৈর শাসনের পৃষ্ঠপোষক মোদীর ভারতে আম্বানী এবং আদানীর জন্য একচেটিয়া কাজ করার মডেল তিনিও ফলো করেছেন।
সংসদকে তিনি দুর্নীতিবাজদের ক্লাবে পরিনত করেছেন। তার গুরুত্বহীন ঝিনাইদহের সাংসদ আনারুল হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনে কলকাতায় নির্মমভাবে নিহত হলেও তিনি ছিলেন নিশ্চুপ। বেনজিরকে দুর্নীতি করার ওপেন লাইসেন্স দিয়ে নিরাপদে পালানোর সুযোগ দিলেও—ন্যায্য অধিকার চাওয়ায় দেশের ভবিষ্যৎ তরুনদের করেছেন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, তাদের বুকে চালিয়েছেন নির্বিচারে গুলি।
তিনি দেশকে শেষ করলেন , দেশের মানুষকে ঋনে জর্জরিত করলেন, তার দলকে শেষ করলেন,তার জন্য নিরলস কাজ করে যাওয়া হাজার হাজার কর্মীদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন। দেশের বিচার বিভাগ, প্রশাসন, অর্থনীতিকে পংগু করে একা দেশ থেকে বিশাল কার্গো বিমানে একশত ২৫ টি লাগেজ ভরে সোনা, ডলারসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে নিরাপদে ভারতে পালিয়ে গেলেন। তিনি শুধু নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবলেন—তার দলের নেতা ও কর্মীদের কথা একটিবারের জন্যও ভাবলেন না।
বাংলাদেশে ‘হাসিনা আধ্যায়’-এর সমাপ্তি হলো। ‘অত্যাচারী শাসক’ তকমা গায়ে নিয়েই তাকে আগামীর বাংলাদেশ মনে রাখবে। পদ্মা সেতু থেকে মেট্রো রেল–বহু কাজের অবদান চাপা পড়ে যাবে শত শত লাশের স্তূপের নীচে ।
–কিংশুক প্রামাণিক।
(সংবাদ প্রতিদিন, কোলকাতা 7 -8-24)