কক্সবাজারে টেকনাফ দিয়ে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য জড়ো করা রোহিঙ্গাসহ ২০ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি ও ১২ জন রোহিঙ্গা। এ সময় মানবপাচারে জড়িত তিন দালালকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দিনগত রাতে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরীপাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার দীল মোহাম্মদের স্ত্রী লুনা বেগম ও একই এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে মো. রিদুয়ান এবং সাবরাং ইউনিয়নের কচুবুনিয়া এলাকার সাকের হোসাইনের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ।
উদ্ধার আট বাংলাদেশি হলেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গার মধ্যমপাড়ার মমতাজ আলীর ছেলে আবদুল মাবুদ, একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে শাহাজাহান, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের টেক্সিব্রিজ এলাকার আজিউর রহমানের জহুর আলম, কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনারপাড়া এলাকার শওকত ওসমানের ছেলে আবদুর রহিম, মহেশখালীর মুন্সির ডেইল নুরুল আমিনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম, একই এলাকার মুন্সির ডেইলের রহমত উল্লাহর ছেলে মো. সোহেল, রামুর কাউয়ারকোপ এলাকার মৃত আবুল খায়েরের ছেলে মনিরুল আলম ও কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর নয়াপাড়ার মমতাজ মিয়ার ছেলে মনজুর আলম।
অপরদিকে রোহিঙ্গারা হলেন, টেকনাফের হাকিমপাড়ার ক্যাম্পের রহমত উল্লাহর ছেলে আয়াত উল্লাহ, বালুখালি ক্যাম্পের মো. আমিনের ছেলে নেছার উল্লাহ, কুতুপালং ক্যাম্পের রহমত উল্লাহর ছেলে শফি আলম, জামতলি ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর ছেলে নুর আলম, বালুখালি ক্যাম্পের মির আহমদের ছেলে ছৈয়দ কাছিম, একই ক্যাম্পের মো. আমিনের ছেলে নুর আবছার, শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্পের মো. কবিরের ছেলে মো. নজরুল, কুতুপালং ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর ছেলে দিল কায়েস, থাইংখালি ক্যাম্পের নুর ছালামের মেয়ে সাবেকুন্নাহার, একই ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর মেয়ে ধলু বেগম, দিল মোহাম্মদের মেয়ে উম্মে হাবিবা ও কুতুপালং ক্যাম্পের নুর মোহাম্মদের মেয়ে মিনুয়ারা বেগম।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার একটি বাড়ি থেকে ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়। যারা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য সেখানে অবস্থান করছিলেন। এসময় তিনজনকে আটক করা হয়।