‘স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারির’ পর অধিনায়কত্ব করা থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে তার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।যার ফলে আসন্ন বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডারের অধিনায়ক হতে আর কোনো বাধা নেই বাঁহাতি এই ওপেনারের।
চলতি মাসের শুরুর দিকে তিন সদস্যের স্বতন্ত্র প্যানেলের সামনে নিজের আবেদনটি উপস্থাপন করেন ওয়ার্নার। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে তিনি সব শর্ত পূরণ করেছেন বলে জানিয়েছে সেই প্যানেল।
এক বিবৃতিতে প্যানেলটি বলে, ‘ওয়ার্নার বেশ সম্মানসূচক ও বিনম্র সুরেই জবাব দিয়েছেন। তার জবাবের দৃষ্টিভঙ্গি প্যানেলকে মুগ্ধ করেছে এবং একমত হতে বাধ্য করেছে যে, আচরণের দায় স্বীকার করতে তিনি খুবই আন্তরিক এবং সত্যিকার অর্থেই অনুশোচনায় পুড়ছেন। শাস্তি আরোপের পর থেকে ওয়ার্নারের আচরণে চমৎকার পরিবর্তন দেখা গেছে। এর মধ্যে একটি উদাহরণ হলো, তিনি স্লেজিংয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে আর প্ররোচিত করেন না। ’
‘রিভিউ প্যানেল পুরোপুরি আশ্বস্ত যে, ২০১৮ সালের মতো আচরণে আর জড়াবেন না ওয়ার্নার। যার কারণে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হয়েছিল। এই শাস্তি তার ক্ষেত্রে প্রতিরোধের বিশেষ গুণাবলি হয়ে উঠেছে। ’
ছয় বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিং করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আলোচিত সেই কাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। যে কারণে তাকে এক বছর ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে অস্ট্রেলিয়া। শুধু তা-ই নয়, অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথকেও এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ও সিরিশ কাগজ দিয়ে বল ঘষা ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফট নিষিদ্ধ হন ৯ মাসের জন্য।
সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিনজনই আবার অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ফেরেন। তবে ওয়ার্নারের অধিনায়ক হতে বাধা ছিল এতোদিন। সেটাও শেষ পর্যন্ত উঠে গেল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাট থেকে এ বছরই অবসর নিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আরও দুবছর খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি।