
গাজায় গেল একদিনে ইসরাইলের হামলায় ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ত্রাণ নিতে গিয়ে রাফাহ সীমান্তেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার বাসিন্দাদের দুঃখ, দুর্দশা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্থানীয় সময় রোববার (০১ জুন) উপত্যকার রাফাহ, খান ইউনিস, আল মাওয়াসি, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রাফায় ত্রাণ নিতে গিয়েই প্রাণ হারান অনেক ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি। গাজায় ত্রাণ বিতরণ ভয়াবহ ‘মৃত্যুকূপে’ পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মিশর থেকে পাঠানো তিন হাজারের বেশি সহায়তা ট্রাক উপত্যকায় প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। যার ফলে ডায়রিয়া, মেনিনজাইটিসসহ নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জানান, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মারাত্মক ঘাটতির কারণে গাজার হাসপাতালগুলোর এখন করুণ অবস্থা।
গাজার এই পরিস্থিতিকে মানবিক বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি ও লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন। বাগদাদে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান তারা।