ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে ইরানে হামলা চালাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। শুধু ইরানে নয়, লেবানন ও গাজাসহ অন্যান্য ফ্রন্টে বড় আকারে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দখলদার সেনারা। শনিবার (৫ অক্টোবর) একাধিক ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রচার করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় অব্যাহত হামলা ও হামাসের সাবেক রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের একাধিক কমান্ডারকে হত্যার জবাবে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইসরাইলে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
ইসরাইল ওই হামলার ‘সময় ও সুযোগ মতো সমুচিৎ জবাব’ দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই দেশটির সামরিক বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবরে জানানো হয়েছে। অবশ্য গাজা ও লেবাননে হামলা বন্ধ নেই। শনিবারও উভয় অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে।
শনিবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম পাবলিক ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন জানিয়েছে,‘সেনাবাহিনী ইরানের মিসাইল হামলার শক্তিশালী জবাবের পরিকল্পনা করছে। যদিও তাদের মিসাইল আমাদের বড় কোনো ক্ষতি করেনি। কিন্তু এই হামলার জবাব অবশ্যই দিতে হবে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলোর সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে দখলদার ইসরাইল। ইরানে হামলার পরিকল্পনা ঠিক করতে চলতি সপ্তাহে ইসরাইলে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল মিখায়েল কুরিল্লার।
আলাদা প্রতিবেদনে হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে হামলার যে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে, সেখানে ইরানের পাল্টা জবাবের বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে।
অর্থাৎ ইরান আবারও মিসাইল ছুড়বে এমন বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই তারা হামলার ছক কষছে। হারেৎজ আরও জানিয়েছে, ইরানে হামলার প্রস্তুতি হিসেবে গাজায় ইসরাইলি সেনারা তাদের বর্বরতা বৃদ্ধি করছে।
ইয়েদিওথ নামে ইসরাইলের আরেক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ঠিক করতে ইউরোপের কয়েকটি দেশের কর্মকর্তারা ইসরাইলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তেলআবিবে বৈঠক করেছেন।