
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিরেবন এলাকায় একটি পাথর খনিতে ভয়াবহ ধসে এ পর্যন্ত ১৭ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। এখনো খনিতে আটকা ৮ জন। তাদের খোঁজে রোববারও উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা (বাসারনাস) এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, নিহত ও নিখোঁজদের সংখ্যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিম জাভার গভর্নর ডেডি মুলিয়াদি সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, সিরেবনের এই দুর্ঘটনাস্থলটি শ্রমিকদের জন্য ‘নিরাপত্তা মানদণ্ড পূরণ করে না’ এবং এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
দেশটির জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ধসের কারণ তদন্ত করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ভূমিধসের সম্ভাব্যতা চিহ্নিত করতে অঞ্চলটির একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন করবে।
মন্ত্রণালয়ের ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ বলেন, ‘সিরেবন রিজেন্সি এলাকার মাটি ধস প্রবণ, বিশেষ করে যখন বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। ধসের জায়গাটির ঢাল খুব খাড়া, যা দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এই খনিতে ওপেন-পিট (উন্মুক্ত খনি) পদ্ধতিতে যেভাবে পাথর কাটা হচ্ছিল, অর্থাৎ নিচের অংশ কাঁটার মাধ্যমে উপরের পাথর ঝুলে থাকায় সেটিও ধসের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।
এদিকে উদ্ধার অভিযানে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। যা নিয়ে ওয়াফিদ সতর্ক করে বলেন, “উদ্ধারকারীদের আবহাওয়া ও খাড়া ঢালের দিকে নজর রেখে কাজ করতে হবে। ভারী বৃষ্টির সময় বা পরপরই উদ্ধার কাজ না করাই ভালো, কারণ এলাকাটি এখনও ভূমিধসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, যা উদ্ধারকর্মীদের ওপরও ধসে পড়তে পারে।”
এ ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার খনিশ্রমিকদের নিরাপত্তা ও খনি পরিচালনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর তদারকি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।