ইতালিতে ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরকে ‘স্টে পারমিট’ বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বসবাসের অনুমতি দেওয়ার সংখ্যা কমেছে৷ সেইসঙ্গে কমেছে সুরক্ষার জন্য আশ্রয় দেওয়ার সংখ্যাও৷
ইতালির সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগের সর্বশেষ ডেটা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইউরোপের বাইরে থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরকে দেওয়া স্টে পারমিটের সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় কমেছে৷ গত ৩ অক্টোবর এই তথ্য প্রকাশ করে সরকার৷
এই সময়ে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সুরক্ষার সুবিধার আওতায় দেওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের বসবাসের অনুমতির সংখ্যাও কমেছে৷
সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে ইতালি সরকার মোট তিন লাখ ৩০ হাজার ৭৩০টি স্টে পারমিট দিয়েছে৷ এই সংখ্যা ২০২২ সারের তুলনায় ২৪ ভাগ কম৷
কমেছে কাজের অনুমতি
২০২৩ সালে অভিবাসীদের জন্য দেওয়া ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের অনুমতি দেওয়ার সংখ্যাও কমেছে৷ সে বছর কাজের উদ্দেশে মোট ৩৯ হাজার স্টে পারমিট প্রদান করা হয়৷ এই সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় ৪২ ভাগ কম৷
দেশটিতে ২০২৩ সালে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউরোপের বাইরের দেশ থেকে আসা মোট ৩৬ লাখ ব্যক্তি স্টে পারমিট নিয়ে অবস্থান করছিলেন৷ স্টে পারমিট পাওয়ার তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ইউক্রেনের নাগরিকেরা৷ দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন যথাক্রমে আলবানিয়া ও মরক্কোর নাগরিকেরা৷
বিদেশি ছাত্রের সংখ্যা বেড়েছে
২০২৩ সালে ইতালির শিক্ষার্থীদেরকে দেওয়া স্টে পারমিটের সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় নয় দশমিক চার ভাগ বেড়েছে৷ সে বছর দেওয়া মোট স্টে পারমিটের মধ্যে আট দশমিক তিন ভাগ ছিল শিক্ষার্থী৷
দেশটিতে ২০২৩ সালে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ইরানের নাগরিক৷ মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশটির থেকে মোট চার হাজার ২০৯ জন শিক্ষার্থী ইতালিতে ওই বছর পড়াশোনা শুরু করেছেন৷ তার পরের অবস্থানে রয়েছে চীন, তিন হাজার ৭৭৯ জন৷ তৃতীয় অবস্থানে তুরস্ক৷ দুই হাজার ৭৪ জন এসেছেন এই দেশটি থেকে৷ এরপরের অবস্থানে থাকা ভারত থেকে এক হাজার ৭৮৫ জন, রাশিয়া থেকে এক হাজার ২৪১ জন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন এক হাজার ৯১জন৷
শিক্ষার্থীদের দেওয়া স্টে পারমিটের শতকরা ৫৪ দশমিক তিন ভাগ নারী, যাদের বেশিরভাগই রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক৷ ওই বছর ইতালিতে পড়তে ভারত ও পাকিস্তান থেকে সবচেয়ে কম সংখ্যক নারী শিক্ষার্থী এসেছিলেন৷