সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার এক মাস ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও অবৈধ প্রবাসীদের অনেকে এখনো বৈধ হওয়ার সুযোগ পায়নি। বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আবেদনকৃত পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৈধ হতে পারবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই মাসের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন দেশটির সরকার। এই ঘোষণার পর প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে দুবাই ও আবুধাবিতে অবস্থিত বাংলাদেশের দুটি মিশন থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও মিশনের ওয়েবসাইটে প্রচারণার মাধ্যমে জানানো হয় দ্রুত ও সহজ পদ্ধতিতে সেবাদানের মাধ্যমে অবৈধ প্রবাসীদের পাসপোর্ট ও ট্রাভেল পার্টমিট দেয়া হবে। কিন্তু সেই সেবা নিতে গিয়ে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রবাসীরা বলছেন, অনেক আগে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলেও তারা পাচ্ছে না। ফলে নতুন ভিসা করতে তাদের অসুবিধা হচ্ছে। অতি দ্রুত পাসপোর্টগুলো দেয়ার দাবি জানান প্রবাসীরা।
ভুক্তভোগীরা জানান, সাধারণ ক্ষমার আওতায় বৈধ হওয়ার লক্ষ্যে নানা বিড়ম্বনার মুখোমুখি হয়েও বাংলাদেশ মিশনে আগের ও নতুন পাসপোর্ট নবায়ন করার আবেদন করেন। তবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখনো অনেকে পাসপোর্ট হাতে পাননি।
প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ সাকিব বলেন, এতগুলো পাসপোর্ট যদি সময় মতো দিতে না পারে তাহলে আরব আমিরাত সরকার যে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছে সেটা তো কাজে লাগাতে পারবে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, তথ্যগত ভুলের কারণে দেশে পুলিশ ভেরিফিকেশনে বিলম্ব হওয়ায় পাসপোর্ট আটকে আছে অনেকের।
এদিকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আবেদনকারীরা যেন দ্রুত পাসপোর্ট পায় সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বর্তমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসীরা।