বরাবরের মতো এবারও অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলো মেতেছে দুর্গোৎসব ঘিরে। বিশেষ করে সিডনি শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। এ বছর সিডনিতে ১৮টি সংগঠন ভিন্ন ভিন্ন মন্দিরে দুর্গা পূজার আয়োজন করে।
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উলুধ্বনি আর ঘণ্টার শব্দ এবং অঞ্জলি দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। মন্ত্রপাঠ ও আরাধনায় আমন্ত্রণ জানানো হয় দুর্গা মাকে। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমন-এই প্রতিপাদ্য তুলে ধরেন মন্দিরের পুরোহিতরা।
অস্ট্রেলিয়ান বাঙালি হিন্দু অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয় টুনগ্যাবি পাবলিক স্কুলে। এখানে ভক্তদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক লিটন সাহা জানান, এবারের দুর্গোৎসব ঘিরে সবার মধ্যে ভীষণ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে তাই আমরাও এ আয়োজনকে সম্পূর্ণ সফল করতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশ পূজা অ্যাসোসিয়েশন এবারের পূজা আয়োজন করে ক্যাম্পসির ওরিয়েন ফাংশন সেন্টারে। সেখানেও ভক্তদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আর বাংলাদেশ সোসাইটি ফর পূজা ও কালচারাল ইনক যথারীতি ওয়েন্টওয়ার্থভিলের রেডগাম সেন্টারে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের দুটি সংগঠন এবারও দুর্গা পূজার আয়োজন সারে যথারীতি তিথি-নক্ষত্র মেনে। তারা হলো আগমনী ও শঙ্খনাদ। এছাড়াও আনন্দধারা, দর্পন, ত্রিনয়ণী, আরোহন, নবরূপ, উত্তরণ, সিডনি কালিবাড়, ভক্ত মন্দির ট্রাস্ট সংগঠনগুলো তাদের টেম্পোরারি মন্দিরে পূজা করে। প্রত্যেকটি মন্দিরেই অসংখ্য ভক্তদের পূজা করতে দেখা যায়।